বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন
রাজশাহী (পুঠিয়া) থেকে মোঃ আরিফুল হক রুবেলঃ— রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া বালুদিয়াড় গ্রামের মোঃ শামীম উদ্দিন পিতা মোঃ নাছির উদ্দিন সরকার (৪৭)বছর বয়সে বর্তমানে সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীতার এক অনন্য উদাহরণ। ১৯৯৫ সালের ২৬ শে আগস্ট নন্দনগাছি আড়ানীর মাঝামাঝি লাইনে এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় শামীম আহমেদ তার দুইটি পা হারায়। পা হারানোর পর দিশেহারা হয়ে যায় শামীম আহমেদ কিভাবে চলবে তার সংসার। শুরু হয় জীবন যুদ্ধ, বেছে নেয় আইসক্রিম বিক্রির পেশাক।
আরও পড়ুনঃ গোলাপ গ্রামে আশুলিয়ার গ্র্যাজুয়েটদের মিলনমেলা
প্রতিদিন ২০ টাকা জমা দেওয়ার চুক্তিতে ভ্যান নিয়ে বাকিতে বুলবুল আইসক্রিম নিয়ে শুরু করেন রোজগার। তখন প্রতিটি আইসক্রিম ১০ পয়সায় বিক্রি হত। বর্তমানে সে নন্দনগাছী বাজারে “শামীম মাইক সার্ভিস ও সাউন্ড সিস্টেম এন্ড ডেকোরেটরের” একজন ব্যবসায়ী। চার ছেলে মেয়ের জনক শামীম আহমেদ বড় ছেলেকে বিয়ে দিয়ে নিজেই তার সংসার চালান এবং বাকি তিন সন্তানকে লেখাপড়া করাচ্ছেন এই ডেকোরেটর ব্যবসা থেকে।
আরও পড়ুনঃ পোর্ট থানা পুলিশের অভিযান ভারতীয় ১৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার ০১ জন আসামী পলাতক
তার জীবনের উত্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কান্নাভেজা চোখে বলেন অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জীবন সংগ্রামের সাথে যুদ্ধ করে আজকে আমি এ পর্যায়ে এসেছি। বর্তমানে আমি একজন সফল আর স্বাবলম্বী ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। দুই পা না থাকলেও প্লাস্টিকের একটা পা আমার আছে, তা দিয়েই আমি মোটর-সাইকেল, ভ্যান, সাইকেল চালাতে পারি এবং আমার ব্যবসা দেখভাল করি। আমি অর্থনৈতিক স্বাভলম্ভি না হলেও সুখী জীবন যাপন করছি। তবে সরকারি-বেসরকারি বা কোন সংস্থা হতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেলে আমি আমার ব্যবসাকে আরো বাড়াতে পারব বলে আশাবাদী।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply